ভারতের হরিয়ানার মেওয়াটে গরুর মাংস খাওয়ার “অপরাধে” শাস্তিস্বরূপ গণধর্ষণ করা হয়েছে দুই তরুণীকে! দুই সপ্তাহ আগে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন গণধর্ষণ-কাণ্ডের শিকার প্রধান ধর্ষিতার।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধর্ষণের দিন সকালে তারা মদ্যপান করে গোমাংস খাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে ওই বাড়িতে হানা দেয়। গোমাংস খাওয়া হারিয়ানায় সরকারীভাবে নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রায়ই সংখ্যালঘুদের উপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে ক্ষমতাসীনদের নির্যাতন করতে দেখা যায়।
দিল্লিতে মানবাধিকার কর্মী শবনম হাসমির উপস্থিতিতে পুলিশের সামনে ওই নির্যাতিতা বলেন, ‘ধর্ষণের আগে গরুর মাংস খেয়েছি কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে না বলা সত্বেও নিস্তার মেলেনি আমাদের।’
হারিয়ানা রাজ্য পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নির্যাতিতারা আগে কোনো অভিযোগ না করায় এতোদিন অপরাধীদের গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আরোপ করে, পরে এলাকাবসীর বিক্ষোভ মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেয়া হয়।
ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে স্থানীয় চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা প্রত্যেকই মদ্যপ ছিল বলে দাবি পুলিশের। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগও রয়েছে।
হারিয়ানায় গরু জবাই, মাংস বিক্রি বা সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। এ আইন ভঙ করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা এবং এক থেকে পাঁচ লাখ রুপি অর্থদণ্ড। এদিকে, কুরবানির ঈদের আগে হারিয়ানার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা মেওয়াটে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।