হোম / শিক্ষা / পড়াশোনা আনন্দময় করে তুলতে উখিয়ার স্কুলের ভিন্ন উদ্যোগ
ukhia

পড়াশোনা আনন্দময় করে তুলতে উখিয়ার স্কুলের ভিন্ন উদ্যোগ

উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়। ভিন্ন আঙ্গিকে পাঠদান শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়ক, তাদেরকে ভালো রেজাল্ট করতে আগ্রহী করে বলে জানান কুতুপালং সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা মিনা বড়ুয়া।

তিনি আরও জানান, ছেলেমেয়েদের খেলাদুলার মাধ্যমে শিক্ষা দিলে তারা তা দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারে। বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠদান তাদের মধ্যে অনিহা তৈরি করে না। নিজে নিজেই নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী করে তুলে।

পাঠদান কার্য্যক্রমে যদি বিভিন্ন ধরনের কৌশল ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, ফলে শিক্ষার্থীরা নিজে নিজেই কাজ করতে শেখে। অর্থাৎ তাদের মাঝে স্বয়ংশিক্ষার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে কাজ করে আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষাগ্রহণ করায় তাদের একঘেঁয়েমি দূর হয় এবং শিক্ষার্থীর শিখন স্থায়ী হয়। উপযুক্ত পদ্ধতি ব্যবহারে শিক্ষকের কাজ/পাঠ-উপস্থাপন অনেক সহজ হয়ে যায়। কার্যকর ও ফলপ্রসূ পদ্ধতি ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীরা স্ব-প্রণোদিত হয়ে শিখনে অংশগ্রহণ করে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব সৃষ্টি হয়।

ukhia

আধুনিক যুগে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রেই কেবল শিক্ষাদান পদ্ধতি ও কৌশলের অনুসরণ করা হচ্ছে তা নয়। সুদূর অতীতেও যখন টোল, মক্তব বা পূজামন্ডপে গুরু তার শিষ্যকে শিক্ষা দিতেন তখনও বিভিন্ন শিক্ষাদান পদ্ধতি অনুসরণ করা হতো।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ শরনার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ ক্যাম্পে রয়েছে ১ হাজার ৬০০ টি লার্নিং সেন্টার (সূত্র: ইউএন চিল্ড্রেন’স ফান্ড/UN Children’s Fund , জানুয়ারি, ২০১৯ ) ।এই শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে সচরাচর গঁদবাধা নিয়মের বাইরে বিভিন্ন পাঠদান পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয়। যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু আয়ত্ত্ব করতে পারে।

গল্প, ছবি আঁকা, কবিতা, খেলাধুলার মাধ্যমে যদি পাঠদান হয় তাহলে শিশুরা সহজে যে কোনো বিষয় বুঝতে পারে এবং তাদের মধ্যে নতুন কিছু শিখার আগ্রহ তৈরি হয়। রোহিঙ্গা শরনার্থী শিশুরা পড়াশোনার দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকায় তাদের এই ধরনের শিখন পদ্ধতি তাদের মেধা বিকাশে সহায়ক বলে মনে করেন ক্যাম্পে শিখন কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন শিক্ষক।

কাম্প ৫ এ অবস্থিত মুক্তি কক্সবাজার এর শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক, ওমর ফারুক তাদের পাঠদান সম্পর্কে কমিউনিটি রেডিও নাফের “পালংয়ের হতা” কে জানান, তারা বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে, গল্প বলার মাধ্যমে শিক্ষা দিয়ে থাকি। শিক্ষার্থীরা একেকটা গল্প পড়ে ঐ গল্পের চরিত্র হওয়ার চেষ্টা করে এবং তা তাদের মধ্যে নতুন কিছু জানার আগ্রহ তৈরি করে। তারা লার্নিং সেন্টারগুলোয় বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠদান দিয়ে থাকেন এবং শিক্ষার্থীরা তা আনন্দের সাথে গ্রহণ করে।

ukhia

“আমি একজন শিক্ষিকা হিসেবে মনে করি শিখন পদ্ধতি একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সময় জ্ঞান, পরিপাটি থাকা, শিক্ষদের সম্মান করা ইত্যাদি গুণ তৈরি করে। আমার শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক রয়েছে, যা পাঠদানে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।” পালংয়ের হতা কে জানান কুতুপালং ক্যাম্পের ব্রাক লার্নিং সেন্টারের শিক্ষিকা রাজুমা বেগম।

ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় বেশ কিছু এনজিও সংস্থা দ্বারা পরিচালিত এই শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ১ লক্ষ ৪৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরনার্থী শিশু পড়াশোনা করচ্ছে। (সুত্র: ইউএন চিল্ড্রেন’স ফান্ড/UN Children’s Fund , জানুয়ারি, ২০১৯) ।

– রুমানা আক্তার শান্তা

এছাড়াও দেখুন

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন

দশম জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ...