হোম / জাতীয় / সাত আইজিডব্লিউর হাতে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ
BTRC

সাত আইজিডব্লিউর হাতে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের বিরোধিতার পরও শেষ পর্যন্ত সাত আইজিডব্লিউর হাতে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছে বিটিআরসি, যার মধ্য দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া কারবারের ছকই বাস্তবায়িত হলো বলে অভিযোগ উঠেছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে বলেছে, এখন থেকে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার কাজে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই ‘নেটওয়ার্ক টপোলজি অনুসরণ করতে হবে।

আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স ও মোবাইল অপারেটরদের (এএনএস) ৩০ দিনের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক টপোলজি অনুযায়ী কল আদান প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক টপোলজির নিয়ন্ত্রণ পাওয়া সাতটি আইজিডব্লিউকে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে বাকি আইজিডব্লিউগুলো বন্ধের উপক্রম হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা।

টেলিকম অপারেটরা বলছে, এ ব্যবস্থায় অবৈধ ভিওআইপি উৎসাহিত হবে; সরকার ও মোবাইল কোম্পানিগুলো বঞ্চিত হবে শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে।

বিটিআরসি ও সাত আইজিডব্লিউর সঙ্গে মঙ্গলবার এক বৈঠকে এ উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেন মোবাইল ফোন কোম্পানির প্রতিনিধিরা।

দেশে মোট ২৯টি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটর থাকলেও তাদের সংগঠন ‘আইওএফ’ এর মধ্যে থেকে সাত আইজিডব্লিউকে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন এই পদ্ধতিতে।

এই সাত প্রতিষ্ঠান হল- ইউনিক ইনফোওয়ে, ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশনস, রুটস কমিউনিকেশনস, গ্লোবাল ভয়েস, মীর টেলিকম, বাংলা ট্র্যাক ও নভো টেলিকম।

বিটিআরসি বলছে, নতুন এই পদ্ধতি বাণিজ্যিকভাবে চালুর আগে আইওএফ বিটিআরসিকে অবহিত করবে। এরপর বিটিআরসি সরেজমিন পরিদর্শন করে বাণিজ্যিকভাবে চালুর অনুমোদন দেবে।

পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করার জন্য কী কারিগরি উপায়ে আন্তঃসংযোগ প্রতিস্থাপন করতে হবে- সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।

এ ব্যবস্থায় ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসটেন্স কমিউনিকেশন (আইএলডিসি) অর্থাৎ সাবমেরিন কেবল বা আইটিসি সরাসরি সংযুক্ত থাকবে আইওএফ এর কমন ইন্টারন্যাশনাল পয়েন্ট বা সিআইপির সঙ্গে। আইজিডব্লিউগুলো কল আদান প্রদান করবে সিআইপির মাধ্যমে।

অর্থাৎ, কোনো আইজিডব্লিউ সরাসরি আইএলডিসি অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না। তারা সরাসরি কোনো অপারেটরের সঙ্গেও কল আদান প্রদান করতে পারবে না। এ কাজটি তাদের করতে হবে ওই সাত আইজিডব্লিউ অপারেটর সুইচ (আইওএস) এর মাধ্যমে।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের বিরোধিতার পরও শেষ পর্যন্ত সাত আইজিডব্লিউর হাতে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছে বিটিআরসি, যার মধ্য দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া কারবারের ছকই বাস্তবায়িত হলো বলে অভিযোগ উঠেছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে বলেছে, এখন থেকে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার কাজে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই ‘নেটওয়ার্ক টপোলজি অনুসরণ করতে হবে।

আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স ও মোবাইল অপারেটরদের (এএনএস) ৩০ দিনের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক টপোলজি অনুযায়ী কল আদান প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক টপোলজির নিয়ন্ত্রণ পাওয়া সাতটি আইজিডব্লিউকে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে বাকি আইজিডব্লিউগুলো বন্ধের উপক্রম হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা।

টেলিকম অপারেটরা বলছে, এ ব্যবস্থায় অবৈধ ভিওআইপি উৎসাহিত হবে; সরকার ও মোবাইল কোম্পানিগুলো বঞ্চিত হবে শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে।

বিটিআরসি ও সাত আইজিডব্লিউর সঙ্গে মঙ্গলবার এক বৈঠকে এ উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেন মোবাইল ফোন কোম্পানির প্রতিনিধিরা।

বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগে বিটিআরসির একাধিক কর্মকর্তা ও আইজিডব্লিউ ব্যবসায়ী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ পরিকল্পনা তৈরি করেছেন সরকারি দলের কয়েকজন নেতা মিলে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাতেও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতার আত্মীয়-স্বজনরা আছেন। অনেকটা চাপে পড়েই বিটিআরসিকে তাতে সায় দিতে হয়েছে।

দেশে মোট ২৯টি ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটর থাকলেও তাদের সংগঠন ‘আইওএফ’ এর মধ্যে থেকে সাত আইজিডব্লিউকে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন এই পদ্ধতিতে।

এই সাত প্রতিষ্ঠান হল- ইউনিক ইনফোওয়ে, ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশনস, রুটস কমিউনিকেশনস, গ্লোবাল ভয়েস, মীর টেলিকম, বাংলা ট্র্যাক ও নভো টেলিকম।

বিটিআরসি বলছে, নতুন এই পদ্ধতি বাণিজ্যিকভাবে চালুর আগে আইওএফ বিটিআরসিকে অবহিত করবে। এরপর বিটিআরসি সরেজমিন পরিদর্শন করে বাণিজ্যিকভাবে চালুর অনুমোদন দেবে।

পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করার জন্য কী কারিগরি উপায়ে আন্তঃসংযোগ প্রতিস্থাপন করতে হবে- সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।

এ ব্যবস্থায় ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসটেন্স কমিউনিকেশন (আইএলডিসি) অর্থাৎ সাবমেরিন কেবল বা আইটিসি সরাসরি সংযুক্ত থাকবে আইওএফ এর কমন ইন্টারন্যাশনাল পয়েন্ট বা সিআইপির সঙ্গে। আইজিডব্লিউগুলো কল আদান প্রদান করবে সিআইপির মাধ্যমে।

অর্থাৎ, কোনো আইজিডব্লিউ সরাসরি আইএলডিসি অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না। তারা সরাসরি কোনো অপারেটরের সঙ্গেও কল আদান প্রদান করতে পারবে না। এ কাজটি তাদের করতে হবে ওই সাত আইজিডব্লিউ অপারেটর সুইচ (আইওএস) এর মাধ্যমে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) নামে এই সংগঠন তৈরির প্রস্তাবে সায় দিয়ে তা অনুমোদনের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বিটিআরসি।

লাইসেন্স নীতিমালা অনুযায়ী, আইজিডব্লিউগুলো একই লাইসেন্সের আওতায় থাকার কথা থাকলেও এই পরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুটি অসম স্তরে ভাগ করা হয়, যার টিয়ার-১ এ ১৬টি এবং টিয়ার-২ এ ৭টি প্রতিষ্ঠান রাখা হয়।

২৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি টিয়ার-২ এ আইওএস সুইচ পরিচালনাকারী ওই সাত আইজিডব্লিউর নাম চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেয়। এই সাত প্রতিষ্ঠানই এখন একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে বলে অন্যদের অভিযোগ।

পরিকল্পনা মডেল অনুযায়ী, বৈদেশিক কল আদান-প্রদানের সব লেনদেন হবে ‘টিয়ার-২’ এর একটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে। অন্য অপারেটর কল আদান-প্রদানের সব অর্থ হস্তান্তর করবে টিয়ার-২ এর মাধ্যমে। পরে টিয়ার-২ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (বিটিআরসি, আইসিএক্স ও এএনএস) কাছে রাজস্ব হস্তান্তর করবে।

পরিকল্পনায় টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ এর লভ্যাংশ ভাগাভাগির হার ধরা হয়েছে ১:১.৯০। একই ব্যবসা হলেও টিয়ার-২ এর প্রায় দ্বিগুণ আর্থিক লাভ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, টিয়ার-১ যদি পায় এক টাকা, তাহলে টিয়ার-২ পাবে এক টাকা ৯০ পয়সা।

বিটিআরসি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কোটি মিনিটের আন্তর্জাতিক কলের বাজার রয়েছে।

এছাড়াও দেখুন

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন

দশম জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ...