হোম / লাইফস্টাইল / স্ত্রীকে সন্দেহ, পুরো বাড়িতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা
cc camera

স্ত্রীকে সন্দেহ, পুরো বাড়িতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা

অনেক স্বামীই আছেন যারা স্ত্রীদের সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখেন। এ নিয়ে অনেক সংসারও ভেঙেছে। তবে এ নিয়ে কোনো বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসানোর খবর পাওয়া না গেলেও এবার ঘটেছে তা-ই। আরব আমিরাতের এক ব্যক্তি স্ত্রীকে সন্দেহ করে পুরো বাড়িতে বসিয়েছেন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।

তার সন্দেহ, স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। স্বামী এমন অপমানজনক মন্তব্য করায় ওই নারী পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন।

এমন ঘটনা ঘটেছে আমিরাতের আল আইন এলাকায়।

কাজের জন্য ওই ব্যক্তি মাসের পর মাস বাড়ির বাইরে থাকেন। তিনি যেহেতু সন্দেহ করছেন অন্য পুরুষদের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক আছে, তাই তিনি বাড়িতে গোপন ক্যামেরা বসিয়েছেন। এ নিয়ে একদিন হঠাৎ স্ত্রীকে মারধর করেন তিনি। মারধরের একপর্যায়ে তিন সন্তানসহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। এ ঘটনায় বিতাড়িত স্ত্রী দেশটির পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন।

আদালতকে ৩৩ বছর বয়সী ওই নারী জানান, অন্য পুরুষদের সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ এনে তাকে কাজের লোক এবং সন্তানদের সামনে মারধর করে তার স্বামী। এরপর বাড়ি থেকে বের করে দেন তার স্বামী। এক প্রতিষ্ঠানে বেশ ভালো পদে চাকরি করা ওই নারী জানান, বাড়িটি নির্মাণে তিনিও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।

ওই নারী আদালতে বলেন, তিন সন্তানকে একাই লালনপালন করছেন তিনি। তার স্বামী প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকেন। কাজের জন্য বাইরে থাকায় কখনো কখনো টানা কয়েক মাস বাড়িতে আসেন না। কিন্তু স্বামী যখন তাকে অবিশ্বাস করা শুরু করলেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়েছেন। তিনি যখন বন্ধুদের সঙ্গে শপিং করতে কিংবা অন্য কোথাও যেতেন, তখনো গোয়েন্দাগিরি করেছেন তার স্বামী।

উভয় পক্ষের কথা শোনার পর আদালত বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেন। সন্তানদের দায়িত্ব মায়ের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, যে বাড়ি থেকে তাদের বের করে দেয়া হয়েছিল, সেই বাড়িতেই তারা বসবাস করবেন। একইসঙ্গে তিন সন্তানের ভরণ-পোষণ, স্কুলের বেতন-ভাতাও দেবেন তাদের বাবা।

এছাড়াও দেখুন

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন

দশম জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ...