হোম / জাতীয় / যে পাঁচ দফা দাবীতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা
five claim

যে পাঁচ দফা দাবীতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলন চলছে। ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে পরিচালিত হচ্ছে এ আন্দোলন।

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। গত ফেব্রুয়ারি থেকে টানা আন্দোলন চললেও রোববার তা সহিংস রূপ নেয়। তবে গতকালের আন্দোলনের ঘটনায় পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তা উত্তালরূপ ধারন করে।

যে ৫ দফা দাবীতে আন্দোলন হচ্ছে তা হলো :

১. সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা।

২. কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ।

৩. কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া।

৪. সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা।

৫. নিয়োগপরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার।

গতকাল রোববার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে রাতভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস আর জলকামানে আহত হন অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন।

এ ঘটনার জের ধরে আজ সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে কার্জন হলের সামনে আন্দোলনকারীরা ফের জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ১০-১৫টি কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয় ছাত্রদের দিকে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পৌনে ১২টার দিকে দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল সহকারের টিএসসির হয়ে কার্জন হলের সামনে অবস্থান নেয়। এখানে অন্যান্য দিকে থেকেও ছাত্ররা জড়ো হয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সড়ক হয়ে আবারও দোয়েল চত্বর দিকে যান।

মিছিলে অংশ নিয়েছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। তবে শিক্ষার্থী পুলিশের অবস্থানের দিকে যাননি। সময় ব্যবধানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে।

গতকাল রবিবার শিক্ষার্থীরা গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে শাহবাগে অবস্থান নিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে বহু শিক্ষার্থী আহত হয় এবং পুলিশ আটক করে। এ ঘটনা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আবারও আজ রাস্তায় নেমে এসেছে।

এদিকে টিএসসিতে দেখা যায়, আরো একদল ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন ‘কোটার সংস্কার চাই—বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত—বৃথা যেতে দেবো না’।

আজ সোমবার ঢাবির কোনো বিভাগে ক্লাস বা পরীক্ষা হয়নি। নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাও কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেননি। পাশাপাশি কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা সড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পুলিশও সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে সেখানে।

এদিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা রাজশাহী-নাটোর সড়ক অবরোধ করেছেন।

এছাড়াও দেখুন

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন

দশম জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ...