হোম / অপরাধ / ফেসবুকে পরিচয়, গেস্ট হাউসে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ
rape

ফেসবুকে পরিচয়, গেস্ট হাউসে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ

ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে রাজশাহীতে এক তরুণীকে (২৫) গেস্ট হাউসে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে কলেজ শিক্ষকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব গড়ে ওই তরুণীকে গেস্ট হাউজে এনে ধর্ষণ করা হয়— এমন অভিযোগে নগরীর শাহমখদুম থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই তরুণী নিজেই।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী এর আগেও একবার ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার শেরে বাংলানগর থানায় মামলা করেছিলেন। ওই সময় তিনি একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তখন ওই কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে তিনি ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলাটিও চলমান আছে।

নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করা ওই তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (ইউআইটিএস)-এর রাজশাহী শাখার সাবেক শিক্ষক ও মচমইল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক সামশুল আলম বাদশার।

পুলিশ আরো জানায়, গত ৩১ জুলাই চিকিৎসার জন্য ওই তরুণী চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসেন। রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা শেষে দুপুরে ফোন করেন তার ফেসবুক বন্ধু বাদশাকে। ওই সময় বাদশা তাকে ডেকে নেন নগরীর গৌরহাঙ্গা এলাকায় তার বন্ধুর ইজিটাস কম্পিউটারের দোকানে। সেখানে গেলে বাদশা ওই তরুণীকে নিজের বান্ধবী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন বন্ধু নাহিদের সঙ্গে। এরপর দুপুরে খাবারের কথা বলে নগরীর শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার গ্রিন গার্ডেন নামের একটি বাগান বাড়িতে (গেস্ট হাউস) নিয়ে যায় তাকে। সেখানে একটি কক্ষে প্রথমে বাদশা ও পরে নাহিদ ওই নারীকে ধর্ষণ করে।

এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে হোটেলে ফেলে রেখে চলে যায় বাদশা ও নাহিদ। এরপর হোটেল কর্মচারীদের সহযোগিতায় রাত ৮টার দিকে শাহমখদুম থানায় গিয়ে তিনি ঘটনাটি জানান। পরে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা নিয়ে রাতেই অভিযান শুরু করে পুলিশ। সোমবার ভোরে গৌরহাঙ্গা এলাকা থেকে পুলিশ বাদশা ও নাহিদকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে চিকিৎসকের বরাদ দিয়ে জানিয়েছেন শাহমুখদুম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন তুহিন।

তিনি জানান, বুধবার সকালে শাহমখদুম থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিকেলে আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। এরপর ওই তরুণী কোথায় থাকবে সে বিষয়ে আদালত আদেশ দেবেন।

পরিদর্শক তুহিন আরো জানান, এই ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার সামশুল আলম বাদশা ও আবু ফায়েজ নাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

শাহমখদুম থানার ওসি জিল্লুর রহমান জানান, শিক্ষক সামশুল আলম বাদশার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল গ্রামে। কম্পিউটার দোকানদারের মালিক আবু ফায়েজ নাহিদের বাড়ি একই উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে। তারা দুইজনেই রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।

তিনি আরো জানান, ওই তরুণী আগে ঢাকায় একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ২০১৫ সালেওই কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে শেরে বাংলানগর থানায় মামলা করেছিলেন। পুলিশ ওই তরুণীর অতীত ও বর্তমান খতিয়ে দেখে বিষয়টি তদন্ত করবে।

এছাড়াও দেখুন

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন

দশম জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ...