সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আহত কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের অবস্থার আরও একটু উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
ডাঃ মির্জা নাজিম উদ্দিন রোববার বলেন, “খাদিজার অবস্থা গতকালের চেয়ে ভালো। তার উন্নতি হচ্ছে।”
আগের দিন শনিবার এ হাসপাতালের চিকিৎসক রেজাউস সাত্তার জানিয়েছিলেন, খাদিজা এখনও ‘কনশাস’ না হলেও ব্যাথা দিলে সাড়া দিচ্ছেন। ব্যাথা পেলে তাকাচ্ছেন, হাত ও পা নাড়াতে পারছেন।
গত ৩ অক্টোবর সিলেটে হামলার শিকার হওয়ার পর ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে ৪ অক্টোবর বিকালে খাদিজার অস্ত্রোপচার হয়। এরপর ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে শনিবার তার শারীরিক অবস্থা সাংবাদিকদের জানান চিকিৎসকরা।
হামলাকারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক বদরুল আলমকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তার শাস্তির দাবিতে টানা বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন সিলেটের কলেজ শিক্ষার্থীরা। দেশের নানা প্রান্তেও প্রতিবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সিলেট মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা পরীক্ষা দিতে সিলেটের এমসি কলেজে গিয়েছিলেন। পরীক্ষা শেষে ফেরার সময় এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে খাদিজাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক বদরুল আলম।
স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে সোমবার তাকে ঢাকায় আনা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর খাজিদাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।