শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায়, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধুকে গণধর্ষণ করে তারা। বর্তমানে ওই তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এ গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন: এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, এম সাইফুর রহমান, রাজন আহমদ, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক আহমদ।
তাদের মধ্যে মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে, সাইফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায়, রনির বাড়ি হবিগঞ্জে এবং তারেক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে, এ ঘটনায় মধ্যরাতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে একটি পাইপগান, চারটি রামদা এবং দু’টি লোহার পাইপ রয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথম দিকে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা আপোষেরও চেষ্টা চালান। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় দীর্ঘ সময় ক্ষেপণের কারণে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিতে সক্ষম হন। অবশ্য পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ধাপাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়ান আওয়ামী লীগ নেতারা।